রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চান ম্যাক্রোঁ
১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০২ এএম | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৬ এএম

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ আবারও নতুন করে বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। দেশটির সুমি শহরে ভয়াবহ রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন ৩৪ জন নিরপরাধ মানুষের। এর জবাবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে মস্কোকে বাধ্য করা যায় একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে। এই বক্তব্য শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং এটি একটি মানবিক আবেদন—নিরীহ প্রাণগুলো রক্ষার তাগিদ থেকে উঠে আসা এক দৃঢ় অবস্থান।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালবেলা ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী সুমি শহরের কেন্দ্রস্থলে রাশিয়া দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ৩৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন, আহত হন প্রায় ১০০ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এই হামলার পর প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “এই যুদ্ধ শুরু করেছিল রাশিয়া—এটা সবাই জানে। আজও একমাত্র রাশিয়াই মানবজীবনের তোয়াক্কা না করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।” তিনি আরও জানান, এখনই সময় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার, যেন রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা যায়।
ইউক্রেন সরকারের তথ্য অনুযায়ী, রুশ বাহিনী গত কয়েক বছরে শুধু সামরিক স্থাপনায় নয়, বারবার বেসামরিক এলাকাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে। সুমি শহরে রোববারের এই হামলাও তারই নির্মম প্রমাণ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া প্রদেশের কিছু অংশ দখল করেছে, যা দেশটির মোট ভূখণ্ডের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ। যদিও রাশিয়া এবং ইউক্রেন—উভয় পক্ষই নিহত-আহতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করেনি, তবে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, এ পর্যন্ত উভয় পক্ষ মিলিয়ে কয়েক লাখ মানুষ নিহত বা আহত হয়েছেন।
এই বাস্তবতা সামনে রেখে ম্যাক্রোঁর বক্তব্য স্পষ্ট—আরও দেরি নয়, এবার রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ জোরদার করতে হবে। কূটনৈতিক প্রয়াস যত গুরুত্বপূর্ণ, ততই গুরুত্বপূর্ণ এই ধরনের নির্মম হামলার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানানো। মানবিক বিপর্যয়ের মুখে নিরবতা নয়, প্রয়োজন দৃঢ়তা ও উদ্যোগ। আন্তর্জাতিক সমাজ যদি সত্যিকার অর্থে শান্তি চায়, তবে শিশুদের রক্ত আর মায়েদের কান্না থামাতে এখনই সময় সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার।
এই যুদ্ধ কেবল দুটি দেশের ভৌগোলিক দ্বন্দ্ব নয়, এটি এখন একটি বৃহত্তর মানবিক সংকটে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র, প্রতিটি বিস্ফোরণ, প্রতিটি শিশুর মৃত্যু আমাদের মনে করিয়ে দেয়—শান্তি কেবল একটি শব্দ নয়, এটি একটি দায়িত্ব। বিশ্ব সম্প্রদায়ের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ—এই যুদ্ধ থামাতে তারা কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তথ্যসূত্র : এএফপি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

পাবনায় চররে জমি দখল নিয়ে সংর্ঘষে গুলবিদ্ধি ৫

আইএমএফের ঋণের কিস্তি নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ

মার্কিন উচ্চশিক্ষার চরম পতন

পরিশুদ্ধ-পরিবর্তিত বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে-সাহাদাত হোসেন সেলিম

গাজায় ইহুদী হামলায় ৬০ ফিলিস্তিনি শহীদ

জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

রাজনৈতিক দল গঠন এখন ছেলেখেলা!

সাভারে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

নর্থ সাউথে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

কোরআনবিরোধী নারী সংস্কার প্রস্তাবনা দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ

পাকিস্তান-ভারতকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখাতে বলল জাতিসংঘ

‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

নারী কমিশনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে

তারেক রহমান ‘নিয়তির সন্তান’

অতিদারিদ্র্য বৃদ্ধির শঙ্কা

২৪ ঘন্টায় গ্রেফতার ১০৭২ আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার

পারভেজ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মেহেরাজ রিমান্ডে

আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সন্তোষ কুমার রিমান্ডে

চট্টগ্রামে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ মহিলার মৃত্যু

রাজধানীর প্রধান সড়কে ব্যাটারি রিকশা বন্ধের দাবি মোটরসাইকেল চালকদের